চোরাচালানের কেন্দ্রবিন্দু চট্টগ্রাম, অভিনব কৌশলে স্বর্ণ ঢুকছে দেশে

দিন দিন স্বর্ণ চোরাচালানের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে চট্টগ্রাম। অভিনব কৌশলে স্বর্ণ ঢুকছে দেশে। গত তিন দিনে বড় দুই চালান ধরা পড়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস গোয়েন্দাদের হাতে। অনুসন্ধান বলছে মধ্যপ্রাচ্যে বসে অবৈধভাবে এ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে ৮ সক্রিয় সিন্ডিকেট। 

 

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার সাইফুল থাকতেন মধ্যপ্রাচ্যে। ছুটিতে দেশে ফিরলেও তার ঠিকানা এখন জেলখানায়। মাত্র ৪০ হাজার টাকার লোভে লুকিয়ে স্বর্ণ নিয়ে এসেছিলেন দেশে। তবে বিমানবন্দরের কাস্টমসের চোখ ফাঁকি দিতে পারেননি তিনি। বুধবার চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার শরীর তল্লাশি করে প্রায় চার কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে। সাইফুলের মতো এমন মানুষদের পুঁজি করে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে চোরাকারবারিরা। মধ্যপ্রাচ্য থেকে অভিনব কৌশলে স্বর্ণ ঢুকছে বাংলাদেশে।

 

চট্টগ্রাম কাস্টমস গোয়ান্দা বিভাগের উপ-পরিচালক এ কে এম সুলতান আহমেদ বলেন, আমাদের কাছে সুস্পষ্ট তথ্য ছিল, সেই হিসেবে ওই যাত্রীকে আমরা চ্যালেঞ্জ করি। তার বডি সার্চ করে আমরা এই স্বর্ণগুলো উদ্ধার করি।

 

শুল্ক গোয়ান্দা কর্মকর্তাদের মতে বিভিন্ন সময়ে পাচারকারীদের আইনের আয়তায় আনা হলেও দ্রুত পুলিশি তদন্ত শেষ হয় না। ফলে জেল থেকে বেরিয়ে আবারও সোনা চোরাচালানে জড়িয়ে পরে আসামিরা। এরপরও সতর্ক অবস্থানে থাকায় ঠিকই গোয়েন্দাদের জালে ধরা পরছে পাচারকারীরা।

 

কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দার অতিরিক্ত মহাপরিচালক বশির আহমেদ বলেন, যেখানে মামলা রুজু করি সেখান থেকে পুলিশ মনে করলে যারা তদন্ত করেন তারা পিবিআইয়ে পাঠান, কিংবা সিআইডিতে অথবা ডিবিতে পাঠান। এই মামলাগুলির যেহেতু তদন্ত কাজটা অনেক দেরি হয়, এবং পরবর্তীতে হাইকোর্ট পর্যন্তও যায়। এক্ষেতে আমাদের পক্ষে আসলে অনেক কিছুই প্রমাণ করা সম্ভব হয় না।

 

চট্টগ্রাম বিমানবন্দর কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের নজরদারি অনেক বেড়েছে। কারণ ডলারের দাম বেরে যাওয়ার কারণে এই ধরণের আইটেম বেশি আসতে পারে বলে আমরা সন্দেহ করি। সেই প্রেক্ষিতে আমাদের এয়ারপোর্ট ইউনিট যথেষ্ট তৎপর। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে, প্রত্যেকটি লাগেজ স্ক্যান করে দেখা হচ্ছে।

 

স্বর্ণ চোরাচালন রোধে কাস্টমসের শুল্ক গোয়েন্দাদের পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষের।সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» পশুর খাদ্যকে মৎস্য খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না : প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

» আবারও ফরদো পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাল ইসরায়েল

» ভোটার তালিকার ভুল এড়াতে মাঠ কর্মকর্তাদের ইসির নির্দেশনা

» রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানোর বিধান প্রশ্নে রুলের শুনানি ৭ জুলাই

» শেখ মুজিবের নয় তাঁর কার্যকলাপের বিরোধিতা করেছি: জয়নুল আবদিন ফারুক

» সাবেক সিইসি নুরুল হুদার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন

» শাহবাগ মোড় ছেড়ে জাদুঘরের সামনে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা

» ২৪ সেকেন্ডের রিলসে ঝড় তুললেন ফারিয়া

» ঢাকার ভোটার হলেন জুবাইদা রহমান

» স্কাউটস দুনিয়া ও নিজেকে আবিষ্কারের সুযোগ তৈরি করে : প্রধান উপদেষ্টা

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : dhakacrimenewsbd@gmail.com

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

চোরাচালানের কেন্দ্রবিন্দু চট্টগ্রাম, অভিনব কৌশলে স্বর্ণ ঢুকছে দেশে

দিন দিন স্বর্ণ চোরাচালানের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে চট্টগ্রাম। অভিনব কৌশলে স্বর্ণ ঢুকছে দেশে। গত তিন দিনে বড় দুই চালান ধরা পড়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস গোয়েন্দাদের হাতে। অনুসন্ধান বলছে মধ্যপ্রাচ্যে বসে অবৈধভাবে এ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে ৮ সক্রিয় সিন্ডিকেট। 

 

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার সাইফুল থাকতেন মধ্যপ্রাচ্যে। ছুটিতে দেশে ফিরলেও তার ঠিকানা এখন জেলখানায়। মাত্র ৪০ হাজার টাকার লোভে লুকিয়ে স্বর্ণ নিয়ে এসেছিলেন দেশে। তবে বিমানবন্দরের কাস্টমসের চোখ ফাঁকি দিতে পারেননি তিনি। বুধবার চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার শরীর তল্লাশি করে প্রায় চার কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে। সাইফুলের মতো এমন মানুষদের পুঁজি করে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে চোরাকারবারিরা। মধ্যপ্রাচ্য থেকে অভিনব কৌশলে স্বর্ণ ঢুকছে বাংলাদেশে।

 

চট্টগ্রাম কাস্টমস গোয়ান্দা বিভাগের উপ-পরিচালক এ কে এম সুলতান আহমেদ বলেন, আমাদের কাছে সুস্পষ্ট তথ্য ছিল, সেই হিসেবে ওই যাত্রীকে আমরা চ্যালেঞ্জ করি। তার বডি সার্চ করে আমরা এই স্বর্ণগুলো উদ্ধার করি।

 

শুল্ক গোয়ান্দা কর্মকর্তাদের মতে বিভিন্ন সময়ে পাচারকারীদের আইনের আয়তায় আনা হলেও দ্রুত পুলিশি তদন্ত শেষ হয় না। ফলে জেল থেকে বেরিয়ে আবারও সোনা চোরাচালানে জড়িয়ে পরে আসামিরা। এরপরও সতর্ক অবস্থানে থাকায় ঠিকই গোয়েন্দাদের জালে ধরা পরছে পাচারকারীরা।

 

কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দার অতিরিক্ত মহাপরিচালক বশির আহমেদ বলেন, যেখানে মামলা রুজু করি সেখান থেকে পুলিশ মনে করলে যারা তদন্ত করেন তারা পিবিআইয়ে পাঠান, কিংবা সিআইডিতে অথবা ডিবিতে পাঠান। এই মামলাগুলির যেহেতু তদন্ত কাজটা অনেক দেরি হয়, এবং পরবর্তীতে হাইকোর্ট পর্যন্তও যায়। এক্ষেতে আমাদের পক্ষে আসলে অনেক কিছুই প্রমাণ করা সম্ভব হয় না।

 

চট্টগ্রাম বিমানবন্দর কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের নজরদারি অনেক বেড়েছে। কারণ ডলারের দাম বেরে যাওয়ার কারণে এই ধরণের আইটেম বেশি আসতে পারে বলে আমরা সন্দেহ করি। সেই প্রেক্ষিতে আমাদের এয়ারপোর্ট ইউনিট যথেষ্ট তৎপর। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে, প্রত্যেকটি লাগেজ স্ক্যান করে দেখা হচ্ছে।

 

স্বর্ণ চোরাচালন রোধে কাস্টমসের শুল্ক গোয়েন্দাদের পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষের।সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : dhakacrimenewsbd@gmail.com

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com